সর্বশেষ পোষ্টগুলো

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

চলুন দেখে নেই কিভাবে টরেন্ট ফাইল তৈরী, শেয়ার এবং তা থেকে আয় করতে হয় -১

পোষ্টের শুরুতেই ১ মিনিট সময় চেয়ে নিচ্ছি, টরেন্ট নিয়ে সাধারন এক দুই লাইন আলোচনা করবো ।

টরেন্ট কি ?
টরেন্ট হলো ফাইল শেয়ার করার জনপ্রিয় একটি মাধ্যম । এটি peer 2 peer ফাইল শেয়ার পদ্ধতি, যা দিয়ে একই সময় ডাউনলোড এবং আপলোড করা যায় । বলতে গেলে এমন কোন ফাইল নেই যা টরেন্টে পাওয়া যায় না- মুভি,গেমস,সফটওয়্যার,মিউজিক সব সব ! সাধারনত IDM বা অন্য কোন ডাউনলোড ম্যানেজার দিয়ে আমরা কোন সার্ভার থেকে ফাইল ডাউনলোড করি, সেক্ষেত্রে রিজিউম ক্যাপাবিলিটি নাও থাকতে পারে, স্পিডে লিমিটেশন থাকতে পারে, ফাইল সাইজের লিমিটেশন থাকতে পারে । কিন্তু টরেন্ট ফাইল রিজিউম সাপোর্টেড, স্পিডে লিমিটেশন নেই, ফাইল সাইজও যেমন খুশী :D ইন্টারেস্টিং না ?
এই ব্যাপারে আর আলোচনা বাড়াচ্ছি না । যারা জনেন না কিভাবে টরেন্ট দিয়ে ফাইল ডাউনলোড করতে হয় তারা এই পোষ্টটি দেখুন ।


যেভাবে টরেন্ট ফাইল তৈরী করবেনঃ
µTorrent Stable (3.3.1 build 30017) (1.08 MB only) ডাউনলোড এবং ইন্সটল করুন ।
সফটওয়্যারটি রান করলে চিত্রের মতো দেখতে পাবেন ।
           


কাজের সুবিধার্থে ডেক্সটপে এ যে কোন নাম দিয়ে একটি ফোল্ডার তৈরী করুন এবং আপনি যে ফাইলটি শেয়ার করতে চান ঐ ফোল্ডারে রাখুন । মনে রাখবেন টরেন্ট Seeding শুরু হবার পরে এই ফোল্ডার ডিলিট বা লোকেশন চেন্জ করা যাবেনা । ফোল্ডার ডিলিট বা লোকেশন চেন্জ করলে Seeding বন্ধ হয়ে যাবে ।

                        



File > Create New Torrent এ ক্লিক করুন । অথবা Ctrl+N চাপুন ।

এবার নিচের চিত্র ভালোমত খেয়াল করুন ।

                 



(1) একটি ফাইল শেয়ার করতে চাইলে  Add file এ ক্লিক করুন, আর যদি কোন ফোল্ডার শেয়ার করতে চান তাহলে Add directory তে ক্লিক করুন । এবং ফাইল বা ফোল্ডার / ডিরেক্টরী সিলেক্ট করুন ।

(2) Torrent Properties এ ট্রাকার আ্যাড করতে হবে । ডিফল্ট ট্রাকারগুলো রিমুভ করুন এবং নিচেরগুলো আ্যাড করুন ।


http://tracker.yify-torrents.com/announce

http://exodus.desync.com:6969/announce

http://tracker.torrentbay.to:6969/announce

udp://11.rarbg.com/announce

udp://tracker.istole.it:80/announce

udp://fr33dom.h33t.com:3310/announce

udp://tracker.openbittorrent.com:80/announce

udp://tracker.publicbt.com:80/announce

udp://tracker.prq.to/announce

অবশ্যই প্রতিটি ট্রাকার লেখার পরে ১ লাইন ফাকা রেখে পরেরটা লিখতে হবে । এভাবে-

   


(3) এবার Create এ ক্লিক করুন ।

     


টরেন্ট ফাইল তৈরী হবার পরে তা কোথায় সেভ হবে দেখিয়ে দিন । আমি ডেক্সটপ সিলেক্ট করেছি ।
File name : এখানে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী কোন নাম দিন ।
Save as Type:  Torrent Files দিতে হবে ।

Save এ ক্লিক করুন । টরেন্ট ফাইল তৈরী শুরু হবে ।

   


আপনি যে লোকেশনে টরেন্ট ফাইল সেভ করার জন্য দেখিয়ে দিয়েছিলেন এবার সেখানে দেখুন .torrent এক্সটেনশন দিয়ে একটি ফাইল তৈরী হয়েছে ।

দেখতে এরকম হবেঃ

   


 এবার µTorrent সফটওয়্যারটি Open করে দেখুন একটি নতুন ফাইল যোগ হয়েছে ।

 



টরেন্ট ফাইল তৈরী শেষ । :D আপনি ফাইলটি শেয়ার করার জন্য সম্পূর্ন প্রস্তুত ! এবার শেয়ার করার পালা ।

যেভাবে টরেন্ট ফাইল শেয়ার করতে পারবেনঃ

দুনিয়ার সবচেয়ে বড় টরেন্ট শেয়ারিং সাইটের নাম - Thepiratebay

http://thepiratebay.sx/register এ যান । এবং সাইনআপ করুন এবং লগইন করুন ।

      


                                                                  
Upload torrent  এ ক্লিক করুন ।

   


1) Browse বাটনে ক্লিক করে আপনার তৈরী করা টরেন্ট ফাইলটি সিলেক্ট করুন ।
2) ফাইলের একটি নাম দিন ইচ্ছেমতো ।
3) আপনি যে ফাইল শেয়ার করতে যাচ্ছেন তার ক্যাটাগরী নির্বাচন করুন ।
4) ফাইলের নাম ও বৈশিষ্টের সাথে মেলে এমন ২/৩ টা ট্যাগ লিখুন ।
5) Piratebay তে ইমেজ আপলোড করা যায় না, তাই ফাইলের ইমেজ bayimg  এ আপলোড করতে হবে । নতুন ট্যাব ওপেন করে http://bayimg.com এ যান ।
     


Browse এ ক্লিক করে ইমেজ সিলেক্ট করুন । Removal Code এবং Tags এ ইচ্ছেমত কয়েকটি সংখ্যা লিখুন ।
Settings এ ক্লিক করে Resize to এর পাশের চেকবক্স মার্ক করে Upload এ ক্লিক করুন ।
আপলোড হয়ে গেলে  TPB Imagetag: 7cedbdfa72f96347f8e53152ad9338528587bf9f এই ধরনের একটি কোড পাবেন । TPB Imagetag:  বাদ দিয়ে 7cedbdfa72f96347f8e53152ad9338528587bf9f এই রকম কোডটুকু কপি করে নিন ।

Torrent Upload ট্যাবে ফিরে যান এবং Image Tag from Bayimg (5) এ পেস্ট করুন ।

(6) Description ফিল্ডে ফাইলটি কিসের,এটার উপকারীতা কি ইত্যাদি ইত্যাদি মন খুলে লিখুন :D

ক্যাপচা পূরন করে Add to index এ ক্লিক করুন, Piratebay তে আপনার টরেন্টটি আ্যাড হয়ে যাবে ।

    

টরেন্ট আপলোড হয়ে গেছে । কেউ ডাউনলোড করতে চাইলে এই লিংক ফলো করুন ।
এখন পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ এই টরেন্ট ফাইলটি ডাউনলোড করতে পারবে ।

সতর্কতাঃ

টরেন্টে যেহেতু সরাসরি PC থেকে PC তে শেয়ার হয় তাই আপনি যদি Seeding বন্ধ করে দেন অথবা PC থেকে মেইন ফাইলটির লোকেশন চেন্জ করেন বা ডিলিট করেন তাহলে Seeding বন্ধ হয়ে যাবে । যতো বেশী ইউজার ডাউনলোডের জন্য যুক্ত হবে ততো ভালো, প্রথমে হয়তো যারা ডাউনলোড করবে তারা স্পিড কম পাবে তবে আস্তে আস্তে আপনার মতো অনেকেই Seeding শুরু করবে এবং স্পিড বাড়তে থাকবে । আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি ৪০/৫০ জন ডাউনলোড করার পরে ফাইল ডিলিট করে দিলেও সমস্যা হয়না । কারন ৪০/৫০ জন ডাউনলোড করলে তারমধ্যে অন্তত ১০ জন seeding শুরু করে । এভাবে এক PC থেকে আরেক PC, আরেক PC থেকে আরেক PC শেয়ারিং চলতেই থাকে এবং যতদিন ফাইলটি মানুষের দরকার হবে ততোদিন চলতেই থাকবে । :D


আজ এ পর্যন্তই । ২য় পর্বে লিখবো কিভাবে কম স্পিডেও টরেন্ট শেয়ার করা যায় এবং কিভাবে আয় করা যায় ।

পোষ্টটি আপনার ভালো লেখে থাকলে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।
এরকম পোষ্ট পাবলিশ হবার সাথে সাথে আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন । ।

ভালো থাকুন । সুস্হ্য থাকুন । শুভ কামনা রইলো ।

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

Mozbackup ! উইন্ডোজ রিইন্সটল দেবার পরেও ব্রাউজার থেকে হারাবো না কিছুই

একটা সময় ছিলো যখন কম্পিউটার স্লো হতে হতে অবস্হা শোচনীয় হয়ে গেলেও উইন্ডোজ রিইন্সটল দিতে ভয় পেতাম । :P ব্রাউজারের হিস্ট্রি, বুকমার্ক, কুকি, সেভ করা পাসওয়ার্ড কিছুই তো পাবো না উইন্ডোজ দেবার পরে :( তখন পাসওয়ার্ড ব্রাউজারেই সেভ করে রাখতাম ।
এরপরে গুগল ঘেটে শিখলাম কিভাবে মজিলার ব্যাকআপ নিতে হয় । পদ্ধতিটা একটু ভেজাল মনে হলো, কারন বুকমার্ক, হিস্ট্রি প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা ব্যাকআপ নিতে হতো ।

এই প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা ব্যাকআপ নেওয়ার ঝামেলা থেকে বাঁচার পদ্ধতিই আজ বলবো ।

http://www.mozbackup.org থেকে MozBackup 1.4.10 Stable সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন (size 777kb)।
সফটওয়্যারটি দিয়ে Mozilla Firefox, Mozilla Thunderbird, Mozilla Suite এবং Netscape profiles এর bookmarks, mail, contacts, history, extensions, cache, Saved password এর ব্যাকআপ নেওয়া যাবে এবং রিস্টোরও দেওয়া যাবে । :D

ডাউনলোডের পর ইন্সটল এবং Mozilla ব্যাকআপ নেবার জন্য সফটওয়্যারটি রান করুন ।

চিত্রে দেখুন ।

  


নেক্সট চাপুন ।
এখানে সিলেক্ট করতে হবে আপনি কি ব্যাকআপ নিতে চান ? নাকি ইতোমধ্যে আপনার কাছে মজিলার কোন ব্যাকআপ ফাইল আছে সেটা রিস্টোর করতে চান ?

প্রথমে আমরা দেখবো কিভাবে ব্যাকআপ নিতে হয় । Backup a profile সিলেক্ট করুন ।

  


নেক্সট করুন ।


  Browse বাটন চেপে Backup কোথায় সেভ করতে চান তা নির্ধারন করে দিতে পারেন, নাহলে বাই ডিফল্ট ডেক্সটপে সেভ হবে ।  নেক্সট চাপুন ।

   

চাইলে ব্যাকআপ ফাইলটি পাসওয়ার্ড প্রটেক্টেড করতে পারেন যাতে আপনার অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ ব্যাকআপটি ব্যাবহার করতে না পারে ।  পাসওয়ার্ড দিতে চাইলে Yes চেপে পাসওয়ার্ড সেট করুন এবং Next চাপুন, পাসওয়ার্ড দিতে না চাইলে NO চেপে Next ক্লিক করুন ।

   


এখানে মজিলার কি কি ব্যাকআপ ( eg: Password, Cookies History,Bookmark etc) নিতে চান সেগুলো আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে । যেহেতু বাই ডিফল্ট প্রয়োজনীয় সবগুলো সিলেক্ট করাই আছে তাই এখানে হাত দেবার দরকার নাই ।

নেক্সট করুন । চিত্রের মতো দেখতে পাবেন এবং ব্যাকআপ ফাইল তৈরী শুরু হবে ।

   

   
ব্যাকআপ ফাইল তৈরী শেষ হয়ে গেলে রিপোর্ট দেখতে পাবেন । Finish চাপুন ।

হয়ে গেল ব্যাক আপ তৈরী । :D এবার দেখবো কিভাবে রিস্টোর করতে হয় ।

সফটওয়্যারটি রান করুন ।

      

Restore a profile সিলেক্ট করুন এবং Next চাপুন ।

      

   
Browse এ ক্লিক করে আপনার ব্যাকআপ ফাইলটি সিলেক্ট করুন ।

   


যা যা রিস্টোর করতে চান নির্ধারন করে দিন । ফুল ব্যাকআপ রিস্টোর করতে চাইলে জাস্ট Next চাপুন ।

             

দেখুন একটি পপআপ মেসেজ দেখাচ্ছে । Yes চাপুন ।



রিস্টোর কমপ্লিট হয়ে গেলে রিপোর্ট দেখাবে । এরপর Finish চাপুন ।

বিঃদ্রঃ কারো ক্ষতি করার জন্য এই পোষ্ট লেখা হয়নি । দয়া করে কোন অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এই পোষ্টকে কাজে লাগাবেন না । এই পোষ্টকে কাজে লাগিয়ে কেউ কোন অসৎকাজ করলে তার দায়ভার eLogBD ব্লগ বা লেখকের উপর বর্তাবে না ।



লেখাটি পড়ে ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না । এরকম আরো টিপস এন্ড ট্রিকস এর আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন ।

ভালো থাকুন, সুস্হ্য থাকুন ! আজ এ পর্যন্তই । আল্লাহ হাফেজ ।

বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ওয়েব ডিজাইনারেরা নিন সিরিয়াল কী সহ Adobe Dreamweaver CS5

সবাইকে সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোষ্ট ।

Adobe Dreamweaver সম্পর্কে আসা করি সবাই কম বেশী জানেন । আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভলপার হয়ে থাকেন বা হতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে এই সফটওয়্যারটি আপনার জন্যই । তবে একটি কথা বলে রাখা ভালো "কোডিং শেখার কোন বিকল্প নেই",  Adobe Dreamweaver আপনার কাজকে সহজ করে দিতে পারে কিন্তু প্রফেশনাল হতে হলে আপনার অবশ্যই কোডিং জানতে হবে ।

যাই হোক এগুলো নিয়ে অন্য এক পোষ্টে আলাপ করা যাবে, আপাতত মূল প্রসঙ্গে আসা যাক ।
আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক কম স্পিডের ইন্টারনেট ব্যাবহার করে তাই ডাইনলোডের সুবিধার কথা বিবেচনা করে 400 MB সাইজের এই সফটওয়্যারটিকে আমি 100 MB করে মোট 4 টি ভাগে ভাগ করে মিডিয়াফায়ারে আপলোড করেছি ।

                                প্রথমেই এখান থেকে ফাইলগুলো ডাউনলোড করে নিনঃ (মিডিয়াফায়ার লিংক)

                                                                  পার্ট- ১
                                                                  পার্ট- ২
                                                                  পার্ট- ৩
                                                                  পার্ট- ৪


ডাউনলোড হয়ে গেলে ফাইল ৪ টি কে কপি করে একটি নিউ ফোল্ডারে নিন ।

Winrar দিয়ে পার্ট- ১ ফাইলটিকে Unrar করলে অটোমেটিক সবগুলো পার্ট Unrar হয়ে যাবে এবং www.elogbd.com....Dream_CS5 নামের নতুন একটি ফোল্ডারে পুরো সফটওয়্যারটি পাবেন  ।

Unrar password হলোঃ  www.elogbd.com

এতোক্ষনে আসা করি Unrar হয়ে গেছে ।

www.elogbd.com....Dream_CS5 ফাইলটি অপেন করুন । এবং নিচের চিত্রগুলোর নির্দেশনা অনুসরন করুন-


১. Setup.exe রান করুন ।

                              


২. Installation Agreement Accept করুন ।

৩.  এখন ইন্সটলেশন কমপ্লিট করার জন্য Serial Key চাইবে । 
Serial Key পাবার জন্য নিচের চিত্রে খেয়াল করুন ।

                                      





চিত্রে দেখানো কীজেন রান করুন,  ইন্সটলেশন কমপ্লিট করার জন্য কীজেনে পাওয়া সিরিয়াল কী কপি করে পেষ্ট করুন এবং Next এ ক্লিক করুন ।

৪. Adobe আইডি দিয়ে Sign in অথবা Account Create করতে বলবে । দরকার নাই । Skip করুন ।

                       

৫. চাইলে  ইন্সটল কাস্টমাইজ করতে পারেন,  না বুঝলে ফুল ইন্সটল দিন ।
        


৬.  ইন্সটল হয়ে গেলে Crack Folder থেকে amtlib.dll ফাইল কপি করুন ( 32 bit ইউজাররা 32 bit এবং 64 ইউজাররা 64 bit) এবং আপনার কম্পিউটারের C ড্রাইভ > Program Files > Adobe > Adobe Dreamweaver CS5 ফোল্ডারে amtlib.dll ফাইলটি পেষ্ট (রিপ্লেস) করুন ।


অভিনন্দন । আপনি পেরেছেন ।। :D এবার আজীবন ব্যাবহার করুন Adobe Dreamweaver CS5  :D

পোষ্টটি পড়ে ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম পোষ্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ লাইক করুন ।

ভালো থাকুন, সুস্হ্য থাকুন ।

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ছোট্ট একটি টুলস দিয়ে স্ক্রিনশট নিন আপনার ব্রাউজারের অথবা কম্পিউটারের যে কোন জায়গার

আমার এক বন্ধু গতকাল আমাকে ফোন দিয়ে বললো সে কোনভাবেই Adobe Dreamweaver এর ক্রাক সেটআপ করতে পারছে না, এদিকে তার ট্রায়াল পিরিয়ড প্রায় শেষের দিকে । ওকে ফোনে স্টেপ বাই স্টেপ বলে দিলাম কিভাবে করতে হবে । ও সন্তষ্ট হয়ে ফোন রেখে দিলো । কিছুক্ষন পরে আবার ফোন করে বললো "দোস্ত...কাজ হয় না তো"

ভালো ভেজালে পড়লাম দেখছি । ওকে বললাম টিম ভিউয়ার চালু করতে...বললো নেট স্পিড খারাপ ।

মহা সমস্যা ।

হঠাৎ মাথায় আসলো স্ক্রিনশট নেবার আইডিয়া ।

গুগলে খুজে পেয়ে গেলাম LightShot নামের একটি  ছোট্ট সফটওয়্যার যা দিয়ে স্ক্রিনশট নেওয়া যাবে ব্রাউজারের অথবা কম্পিউটারের যে কোন জায়গার । :D

কি ? আপনার লাগবে ?

প্রথমে এখান থেকে ডাউনলোড করুন সফটওয়্যারটি । সাইজ বেশী না, মাত্র ২.৫৯ মেগাবাইট ।

ইন্সটল করুন ।
সফটওয়্যারটি চালু করার জন্য Prt Scr / Prt Scrn কী চাপুন ।
                



ক্রিনে Select Area লেখা একটি টেক্সট দেখতে পাবেন । যতটুকু যায়গার স্ক্রিনশট নিতে চান ততটুকু যায়গা সিলেক্ট করুন । সিলেক্ট করার পরে নিচের চিত্রের মতো দেখতে পাবেন ।

চিত্রের মতো দেখতে পাবেন

                       
    
                                                           
চিত্রের মতো দেখতে পাবেন

স্ক্রিনশট তো নেয়া হলো এখন শেয়ার করবেন কিভাবে ?

নিচের ছবির দিকে খেয়াল করুন ।
   
                                                 

তীর চিহ্নিত বাটনে ক্লিক করুন ।

এইমাত্র যে স্ক্রিনশটটি নিলেন সেটা আপলোড শুরু হয়ে যাবে ।

                                     


আপলোড হবার পরে একটি লিংক পাবেন সেটি চাইলে সবার সাথে শেয়ার করতে পারবেন । :D

আপনি চাইলে ইমেজ এডিটও করতে পারবেন, আপনার পিসি অথবা অনলাইন এডিটর দিয়ে ।
ইমেজ আপলোডের আগেই এডিট আইকন অথবা Ctrl + E চাপলে এডিটর ওপেন হবে ।

এখনও যাদের কাছে পরিস্কার না তারা ইউটিউবে দেখুন।


               
আশা করি টুলটি সকলের উপকারে আসবে । এরকম দারুন সব পোষ্টের আপডেট পেতে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ লাইক করুন ও পোষ্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন ।
ভালো থাকুন, সুস্হ্য থাকুন ।

মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৩

ফ্রি মোবাইল রিচার্জ ! লোভে পড়ে প্রতারনার ফাঁদে পা দিবেন না !

কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয়
টেকনোলজি বিষয়ক ব্লগ সহ বেশ কয়েকটি ব্লগে সকাল বিকাল রুটিন করে এক প্রতারককে পোষ্ট করতে দেখা যাচ্ছে ।
"ফ্রি ফ্রি মোবাইল রিচার্জ করুন !  ৳১০ - ৳১০০০ টাকা"  অথবা  "ফুরিয়ে যাবার আগেই ফ্রি ফ্রি মোবাইলে ফ্লেক্সি / টপআপ নিন"  নিচের স্ক্রিনশট গুলো দেখে নিন ।

শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৩

বৈদেশিক মুদ্রার বাজার - ফরেক্স ( টিউটোরিয়াল ) - ১৬

ফরেক্স ব্রোকার

ট্রেড শুরু করতে একাউন্ট অপেন করা জন্য প্রয়োজন হয় একটি ব্রোকাররের। ফরেক্স মার্কেটের অসংখ্য ব্রোকাররের মধ্য থেকে কোন ব্রোকারটি কেমন, কার সুবিধা কেমন, কিংবা কার কি অসুবিধা, কোন ব্রোকার লেনদেন এর দিক দিয়ে কতটা স্বচ্ছ বা কোন ব্রোকারটি রেগুলেটেড ইত্যাদি নানা বিষয় জেনে শুনে ব্রোকার সিলেক্ট করতে হয়। আপনি নতুন কিংবা পুরাতন যেমন ট্রেডার হোন না কেন, বিষয়টির উপর নির্ভর করছে আপনার ট্রেডিং স্বচ্ছতা।
তাই এখন আমরা দেখব একটি ব্রোকার এর কি কি সুবিধা এবং স্বচ্ছতা থাকলে তাকে রিয়েল ব্রোকার বলা যায়।
কোন ব্রোকার কে রিয়েল প্রমাণিত করতে চাইলে সেই ব্রোকার এর নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর স্বচ্ছতা অনুধাবন একান্ত প্রয়োজন।

১। ব্রোকারটি রেগুলেটেড (Regulated)?:

ব্রোকার নির্বাচনে আপনার প্রথম প্রশ্নটি হল আপনি যে ব্রোকারটি সেলেক্ট করতে যাচ্ছেন তা ব্রোকার নিয়ন্ত্রক অর্গানাইজেশন বা অথোরিটি থেকে রেগুলেটেড কিনা। কারন প্রত্যেকটি রেগুলেটেড ব্রোকার কে তার ফাইনেনশিয়াল রিপোর্ট সাবমিট করতে হয় রেগুলেটরি অথোরিটির কাছে। আর যখন কোন ব্রোকার তা সাবমিট করতে অপারগ হয় বা সাবমিট করে না তখন রেগুলেটরি অথোরিটি ঐ ব্রোকার চার্জ করে বা তার মেম্বারশীপ বাতিল করে। দেশ ভিত্তিক ব্রোকার রেগুলেটরি অথোরিটি ভিন্ন হতে পারে। যেমনঃ আমেরিকান (U.S. based) ব্রোকার হলে তাকে লোকাল অথোরিটি NFA (National Futures Association) এবং CFTC (Commodity futures Trading Commission) করতিক অথোরাইজড হতে হবে। আবার সুয়িস বেসড(Swiss Based) ব্রোকার হলে তাকে অবশ্যই FDF (Federal Department of Finance) এবং U.K. বেসড ব্রোকার হলে তাকে FSA করতিক অথোরাইজড হতে হবে। তাই আপনি যে ব্রোকারকে সিলেক্ট করছেন তার এই স্বচ্ছতা গুলো দেখে নিশ্চিত হতে পারেন।


২। ট্রেডিং কন্ডিশন(Trading Conditions):

আপনি দ্বিতীয় যে বিষয় গুলো দেখবেন তা হল ঐ ব্রোকার আর ট্রেডিং সুবিধাগুলো। যেসব বিষয় আপনি দেখবেন সেগুলো হলঃ
  • ক) Spread: অবশ্যই দেখবেন কারেন্সি পেয়ারে অন্যদের তুলনায় স্প্রেড কত কম, স্প্রেড যত কম হবে আপনার ট্রেডিং ক্যাপাবিলিটি তত ভালো হবে।
  • খ) Platform Execution: অর্থাৎ আপনি দেখবেন ঐ ব্রোকারের ট্রেডিং এক্সিকিউশন কত ফাস্ট। অর্থাৎ আপনি যখন কোন অর্ডার মেইক করেন তখন কত দ্রুত আপনার অর্ডারটি মেইক হচ্ছে।
  • গ) Fractional Trading: আপনি যদি মিনি লট বা মাইক্রো লট ট্রেডিং ট্রেডার হোন তাহলে দেখতে হবে ঐ ব্রোকারের Fractional Trading সুবিধাটা আছে কিনা। কারন সব ব্রোকার মাইক্রো লট বা Fractional Trading সাপোর্ট করে না।
  • ঘ) Safety of Funds: আপনাকে আরো নিশিত হতে হবে আপনার ইনভেস্টিং এমাউন্টটি কত সেইফ বা নিরাপদ। ব্রোকাররা তাদের একটি Segregated Account সুবিধার মাধ্যমে তা নিশিত করে।
  • ঙ) Trading Platform: সহজভাবে ব্যাবহার সুবিধা দেখবেন, এটি সব ব্রোকারের ক্ষেত্রে ডিফল্ট হয়ে থাকে তাই চিন্তার তেমন কোন কারন নাই।
  • চ) Minimum Investment: এই বিষয়টি ও খুব গুরুত্তপূর্ণ অর্থাৎ ঐ ব্রোকার সর্বনিম্ন কত এমাউন্ট ডেপোজিটে ট্রেডিং সুবিধা প্রদান করছে।
  • ছ) Margin(Leverage): এই ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় হল আপনার চাহিদা অনুসারে ব্রোকার ঐ পরিমান মার্জিন সুবিধা দিচ্চে কিনা তবে মোটামুটি এখন প্রায় ব্রোকার ১-৬০০ লিভারেজ দিচ্ছে।
  • জ) One Click Dealing: যদি আপনার ট্রেডিং স্টাইল হয় খুব স্বল্প সময়ের এবং আপনি যদি দ্রুততার সাথে মার্কেটে প্রবেশ করতে চান এই অপশনটি আপনার জন্য।
  • ঝ) Advanced type of orders: কখনো আপনি আপনার ট্রেডিং স্ট্রেটিজিতে দুটি অর্ডার করতে পারেন শর্ত হলে একটি যেকোন একটি অর্ডার এক্সিকিউট হলে অপর অর্ডারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেনসেল (OCO) হয়ে যাবে । তাই আপনার ট্রেডিং স্ট্রেটিজি অনুসারে ব্রোকারের এই সুবিধাটিও দেখতে পারেন। এছাড়া GTC(Good till Canceled), GFD(Good for the Day) নামক কিছু অর্ডার সুবিধা ব্রোকাররা দিয়ে থাকে।
  • ঞ) Support for Handheld, Mobile and other device: এই সুবিধাটি না উল্লেখ করলেও আপনি অনুভব করতে পারতেন, আপনার পকেট ডিভাইস সাপোর্ট প্লাটফর্ম হলে কতখানি সুবিধা তা আশা করছি আর বিস্তারিত বলেতে হবে না।
  • ট) Trade Directly from the chart: অনেক ট্রেডার আছে যারা সরাসরি চার্ট থেকে ট্রেড করতে চায়। তাই চার্ট থেকে ট্রেডিং কৌওট পেনেল সুবিধাটিও আপনার প্রয়োজন হতে পারে।
  • ঠ) Trailing Stop: এটি ফরেক্স মার্কেটের খুবই সুন্দর একটি সুবিধা যা ব্যাবহার এর মাধ্যমে মার্কেট আপনার অনুকুলে আপনি আপনার প্রফিটকে লক করার মাধ্যমে বাড়াতে পারেন।
এছাড়া ও ট্রেড শুরু করলে আপনি আরো বিভিন্ন ধরনের সুবিধা অনুভব করবেন এবং ব্রোকার অভারভিউ পর্যবেক্ষণ এর মাধমে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ব্রোকারকে সিলেক্ট করে নিবেন।

৩। অধ্যবসায় (Diligence):

আশা করছি ইতিমধ্যে আপনি ২-৩টি ব্রোকারকে প্রাথমিক ভাবে সিলেক্ট করে ফেলেছেন। এবং ট্রেড করার জন্য তাদেরকে ফাইনাল লিস্টে নিয়েছেন। আপনি সঠিক এবং স্বচ্ছ ব্রোকার সিলেক্ট করেছেন কিনা তা নিশ্চিত হতে ভিবিন্ন রকম ফরেক্স ফরামে (যেমন forexfactory, forexnews, babypips ইত্যাদি)একটি পোস্ট দিন আপনার প্রশ্নের উত্তর চেয়ে, দেখবেন অনেক এক্সপার্ট ট্রেডার এবং অভিজ্ঞও যারা আছে তারা আপনার পোস্টের সঠিক রিপ্লাই দিবে এতে করে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার সিদ্ধান্ত কতটুকু সঠিক ছিল।

এছাড়াও আপনি যেসব বিষয়গুলো নিশিত হয়ে ব্রোকার সিলেক্ট করতে পারেন তা হলঃ

  • ১। Customer Service: এই বিষয়টি একজন ট্রেডারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঐ ব্রোকারটি কি কাস্টোমারের প্রতি সদয়? তারা কি কাস্টোমারকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করতে ইচ্ছুক?
  • ২। Slippage: এটি এমন একটি বিষয় যা নির্দেশ করে যে, আপনার অর্ডার করা একচুয়েল ভেলুতে কি অর্ডারটি সম্পূর্ণ হয়েছে? এবং আপনার টেক প্রফিট এবং স্টপ লস মোতাবেক অর্ডারটি সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা ইত্যাদি।
  • ৩। Manual Execution: কিছু ব্রোকার আছে যারা স্কেল্পিং বা অটোট্রেডিং পছন্দ করে না। আর ঐসব ব্রোকারে যখন কোন ট্রেডার তা করতে যায় তখন ব্রোকার থেকে ম্যানুয়াল ট্রেডিং করতে ফোরস করে হয়। অর্থাৎ ঐ ব্রোকারে হিউম্যান ট্রেড ছাড়া অন্য কোন রোবটিক ট্রেড এক্সিকিউট করবে না।
  • ৪। Re-Quotes: এটা ঘটে যখন আপনি বায় অথবা সেল বাটন ক্লিক করছেন কিন্তু ফ্লাটফর্ম বা মেটা ট্রেডার আপনার অর্ডারটি এক্সিকিউট করছে না।

৪। Testing:

এইবার ব্রোকার কনফার্ম করার পালা, অর্থাৎ এতক্ষণের আলোচনায় আপনি যে ব্রোকারকে আপনার ট্রেডিং আর জন্য স্যুট মনে করছেন প্রথমে তাকে ডেমো একাউন্টের মাধ্যমে আপনার সবগুলো ট্রেডিং স্টাইল টেস্ট করুন এবং যদি সেটিসফেক্টরি রেসাল্ট পান তাহলে ঐ নির্দিষ্ট ব্রোকারকে ফাইনাল করুন।
তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ আর মাধ্যমে আপনি একটি পারফেক্ট ব্রোকার সিলেক্ট করে আপনার ট্রেডিং পরিচালনা করতে পারেন সাফল্যমণ্ডিতভাবে।

ভিবিন্ন ব্রোকার রেগুলেটরি অথোরিটি এবং রিভিউ সাইট ডিসকাশন লিঙ্কঃ

Regulatory Agencies website and link :
Review Sites

Forums with Broker Discussions

বৈদেশিক মুদ্রার বাজার - ফরেক্স ( টিউটোরিয়াল ) - ১৫

ট্রেডিং প্ল্যান

লক্ষ্য > টার্গেট কারেন্সি > প্রিপারেশন > টাইমফ্রেম > স্ট্রেটিজি > মেজর ইভেন্ট এবং সতর্কতা ।

প্রত্যেক কাজের সফলতার মুল হল একটি ভালো প্ল্যানিং। ফরেক্স মার্কেটে ও ভালো ট্রেডার যারা তাদের সফলতার মুলে রয়েছে একটা প্রপার ট্রেডিং প্ল্যান। আপনি অনেক কিছুই জানেন এবং ভালো ট্রেড করেন কিন্তু আপনার ট্রেডগুলো যদি কোন পরিকল্পনা মাপিক না হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই আপনাকে বেগ পেতে হয়। একটি সঠিক ট্রেডিং প্ল্যান আপনাকে আপনার লক্ষ্য পৌছাতে একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল নির্দেশনা প্রদান করে। এবং আপনার ট্রেডগুলো এলোমেলো হয় না। আমাদের অনেক ট্রেডারদের একটি বড় সমস্যা হল ইচ্ছেমত ট্রেড করা, আমরা যখন মার্কেটে প্রবেশ করি তখন অনেকেই ভুলে যায় মিনিমাম এনালাইসিসের কথা, চিন্তা করি না বর্তমান মার্কেট অনুযায়ী এখন কোন স্ট্রেটিজি এপ্লাই করা উচিত এবং তা না পেরে পরিশেষে ট্রেডে লস করি। কিন্তু আপনি যদি প্ল্যান মোতাবেক ট্রেড শুরু করেন তাহলে আপনার ট্রেডিং এ এইসব এলোমেলো ভাব থাকবে না এবং লস ট্রেডিং এর সুযোগ থাকবে না।
যাহোক, চুলুন একটি ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করি। এখানে আপনি জেনারেল একটি ট্রেডিং প্ল্যানিং সাজানোর চেষ্টা করেছি, আপনারা আপনাদের ট্রেডিং স্টাইল এর উপর ভিত্তি করে ব্যাবহার করবেন।

লক্ষ্যঃ ট্রেডে প্রবেশ করার আগে আপনাকে ডিসিশন নিতে হবে আপনি দৈনিক কত পিপ এভারেজ প্রফিট করতে চান। যেমন আপনি ঠিক করলেন আপনি দৈনিক ১৫ পিপস প্রফিট করবেন। তাহলে আপনার লক্ষ্য হল আপনি দৈনিক ৫০ পিপস প্রফিট করবেন।

টার্গেট কারেন্সিঃ আপনি যখন স্থির করলেন যে আপনি দৈনিক ১৫ পিপস প্রফিট চান, এখন আপনার দ্বিতীয় কাজ হল, আপনি কোন কারেন্সিতে ট্রেড করবেন তা ঠিক করা। কারেন্সি সিলেকশন করার ক্ষেত্রে কো-রিলেটেড কারেন্সি বাদ দিয়ে কারেন্সি সিলেক্ট করুন। যেমনঃ আপনি ঠিক করলেন আপনি আপনার লক্ষ্য পুরনের জন্য তিনটি কারেন্সিতে ট্রেড করবেন। EUR/USD, GBP/CHF, AUD/JPY।

মার্কেটঃ কারেন্সি সিলেক্ট করার পর আপনি ঘুরে আসুন কোন কারেন্সি মার্কেটটি আপনার ট্রেডিং উপযোগী । অর্থাৎ আপনাকে আপনার পছন্দ করা কারেন্সি চার্ট ঘুরে আসতে হবে এবং দেখতে হবে ঐ নির্দিষ্ট  কারেন্সি মার্কেট সেশন কতক্ষণ একটিভ এবং ঐ সময়ের মধ্যে আপনি ট্রেডে প্রবেশ করে আপনার ট্রেড শেষ করতে পারবেন কিনা।

প্রিপারেশনঃ আপনি লক্ষ্য এবং টার্গেট কারেন্সি ঠিক করলেন এখন আপনার কাজ হল ট্রেডিং এ প্রবেশ করার জন্য প্রিপারেশন নেওয়া। ফাইনালি ট্রেডে প্রবেশ করার ইকোনমিক ক্যালেন্ডার দেখুন আপনার পছন্দ করা কারেন্সিতে আজকে কোন নিউজ আছে কিনা যা ঐ কারেন্সিকে ইফেক্ট করতে পারে। এবং সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস লেভেল নির্ধারণ করে নিন।

 


টাইমফ্রেমঃ এই স্টেজে আপনি কোন ধরনের ট্রেড করবেন তার উপর ভিত্তি করে টাইম সিলেক্ট করতে হবে। যেমন আপনি যদি শর্ট ট্রেড করেন তাহলে ১৫ মিনিট এবং ১ ঘন্টার চার্ট ট্রেন্ড মোতাবেক মুভ করুন। দৈনিক ১৫ পিপস এর টার্গেটে আপনি প্রতি ট্রেড থেকে ৫ পিপস আশা করে শর্ট ট্রেড করতে পারেন। আবারো বলছি টাইমফ্রেম সিলেকশন হবে আপনার টার্গেট পিপস এর উপরে।

স্ট্রেটিজিঃ এইবার ট্রেডে প্রবেশ করার পালা। সব কিছুই মোটামুটি ঠিক করে নিলেন, এইবার একটু এনালাইসিস করতে হবে। মার্কেট ট্রেন্ড ডিরেকশন যদি আপনার কাছে স্পষ্ট না হয় তাহলে অপেক্ষা করুন মার্কেট নতুন একটি ফরমেশন তৈরি করা পর্যন্ত এবং মার্কেট মুভিং এভারেজ সহ সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস লেভেল ভালোভাবে দেখে ট্রেডে প্রবেশ করুন।  এরপর পূর্বে যা যা শিখলেন যেমন, টেক প্রফিট, স্টপ লস সহ আনুষঙ্গিক সব কিছু করুন।

মেজর ইভেন্ট এবং সতর্কতাঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বক্তৃতার সময় ট্রেড করবেন না। যেমনঃ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড,ফেডারাল রিসার্ভ, সাক্সো ব্যাংক ব্রোকার রিভিউ রিলিসে ট্রেড করার দরকার নেই। কারন ঐসব সময়ে মার্কেট ভলাটিলিটি খুব বেশি থাকে তাই আপনি যদি ট্রেন্ডের বিপরীতে থাকেন তাহলে বিশাল ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। কোনদিন যদি আপনার টার্গেট কারেন্সিতে মার্কেট মুভমেন্ট ভালো না দেখেন জোর করে ট্রেড করতে যাবেন না, ঐ দিনের মত ট্রেড সমাপ্তি ঘোষণা করুন। জোর করে টার্গেট ফিলাপ করতে যাবেন না।

বৈদেশিক মুদ্রার বাজার - ফরেক্স ( টিউটোরিয়াল ) - ১৪

ট্রেডিং ফেইজ

আপনার ট্রেডকে আরো নিপুনভাবে পরিচালনা করার জন্য আপনাকে আরো কিছু বিষয় এর উপর জোর দিতে হবে। যা আপনার ট্রেডকে আরো বেশি ইফেক্টিভ এবং ফলফ্রস করবে। এবং ফাইনালি স্ট্রং একটি ট্রেডিং সিস্টেমে ট্রেড করতে সাহায্য করবে।
  • ১। হিস্টোরিকেল  মুভসঃ ট্রেড ওপেন করার আগে পূর্বের চার্ট প্যাটার্ন বা চার্ট মুভমেন্ট ভালোভাবে দেখে কয়েকটি মুভমেন্ট নির্দিষ্ট করুন যেগুলো আপনার স্ট্রেটিজির সাথে মাননসই। অর্থাৎ কয়েকটি চার্ট মভমেন্ট সেম্পল নির্দিষ্ট করুন।
  • ২। সেট আপঃ যেসব চার্ট মুভমেন্ট গুলো পছন্দ করলেন এইবার খুজে বের করুন ঐ সকল চার্ট মুভমেন্টে কমন প্যাটার্নগুলো কি। যেমনঃ আপনি লক্ষ্য করলেন সবগুলো মুভমেন্ট তৈরি হয়েছে এক একটি consolidation pattern এর পরে অথবা দেখলেন মার্কেট মুভমেন্ট সব সময় একটি নির্দিষ্ট লেভেলের উপরে বা নিচে ঘোরাঘুরি করছে। এভাবে আপনি আইডিয়া পেয়ে যাবেন মার্কেট মুভমেন্ট কি পরবর্তী মুভমেন্ট কি হবে।
  • ৩। ট্রেডিং এন্ট্রি রুলঃ এইবার ট্রিগ করার পালা, অর্থাৎ চার্ট মুভমেন্ট ঠিক করলেন এবং মুভমেন্ট গুলো কখন কোন পর্যায় এসে অবস্থান নিয়েছে জেনে গেলেন হিস্টোরিকেল মুভস এবং সেট আপ ফেইজ এর মাধ্যমে। তাই এখন অর্ডার করা খুব সহজ হয়ে গেল আপনার জন্য, বর্তমান মার্কেট মুভস কি তা পূর্বের আপনার পছন্দ করা সেট আপ প্যাটার্ন এর সাথে মিলান এবং পরবর্তী অর্ডার করুন। যেমন ধরুন মার্কেট এখন এমন একটা পর্যায় আছে যার পূর্বের মুভ ছিল রিভারসেল তাই এখনো আপনি রিভারসেল অর্ডার এর জন্য রেডি হতে পারেন যদি ফান্ডামেন্টাল কোন ইফেক্টিভ নিউজ না থাকে। তবে পুরোপুরি হিস্টোরিকেল চার্ট নির্ভর না হয়ে স্ট্রেটিজি মোতাবেক অর্ডার করুন।
  •  ৪। রিস্ক ম্যানেজমেন্টঃ  এই ফেইজে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি যদি ট্রেড লস করেন বা ট্রেড যদি আপনার প্রতিকুলে যায় তাহলে কত পয়েন্ট পর্যন্ত ত্যাগ করবেন।
  •  ৫। এক্সিট এবং টেকপ্রফিট লেভেলঃ মাঝে মাঝে এমন হয় আপনার ট্রেডটি টেক প্রফিট ও হিট করে না আবার স্টপ লস ও ট্রিগ করে না। এই অবস্থায় আপনাকে স্ট্রেটিজি একটু চেঞ্জ করতে হবে অর্থাৎ আপনি যেরকম একটি ক্রস অভারে মার্কেটে ঢুকেছেন ঠিক আরেকটি নেগেটিভ ক্রসওভারে মার্কেট থেকে বের হয়ে জেতে হবে। অর্থাৎ যদি আপনি একটি রিভার্সেল প্যাটার্নে মার্কেটে ঢুকেন তাহলে পরবরথি আপনার বিপরীত রিভার্সেল প্যাটার্নে আপনাকে মার্কেট থেকে বের হয়ে জেতে হবে। অথবা আপনি RR Ratio ২:১  তে ট্রেড সেট করতে পারেন।
  •  ৬। ট্রেড ম্যানেজমেন্টঃ এই ফেইজে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কি একাধিক ট্রেড করবেন নাকি স্কেলপিং করবেন।
  • ৭। মানি ম্যানেজমেন্টঃ আপনার ট্রেডিং ব্যালেন্স কিভাবে ব্যাবহার করবেন।
  •  
  

Key Point of Developing Trade: ভালো ট্রেডিং সিস্টেম সাজাতে বা তৈরি করতে নিচের পয়েন্ট গুলো জেনে নিয়ে ট্রেড করুন।


  • ১। ট্রেডের ক্ষেত্রে নিজের করা একটি সুন্দর ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করুন।
  • ২। ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে ২-৩ ইন্ডিকেটর এর সাহায্য নিন , অনেকগুলো ইন্ডিকেটর ব্যাবহার এর দরকার নেই।
  • ৩। মানি ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে ট্রেড শুরু করুন।
  • ৪। প্রতি ট্রেডে টেক প্রফিট সহ স্টপ লস সেট করে ট্রেড করুন।
  • ৫। ট্রেডিং এর সময়ব্যাপ্তি  অনুসারে প্রফিট নিন। প্রফিটেবল ট্রেড তাড়াতাড়ি ক্লোজ এবং লস ট্রেডকে দীর্ঘাইয়িত করা থেকে বিরত থাকুন।
  • ৬। কয়েকটি ট্রেডে সাকসেস এর সাথে সাথে রিস্ক বাড়াবেন না। অতিরিক্ত ট্রেড করবেন না।
  • ৭। ট্রেডের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডিং প্ল্যান চেঞ্জ করবেন না।
  • ৮। নতুন স্ট্রেটিজিতে সরাসরি রিয়েল একাউন্টে ট্রেড করার করবেন না, আগে ডেমোতে সাকসেস রেইট দেখে নিন।
  • ৯ সফল এবং ব্যাথ উভয় ট্রেডের এর রেকর্ড রাখুন , পরবর্তী সময়ে কাজে লাগবে।
  • ১০। রোবট সহ ভিবিন্ন রেডিমেইট অটো ট্রেডিং টুল এর উপর নির্ভর করে ট্রেড করবেন না।
  • ১১। ট্রেন্ডের বিপরিতে ট্রেড করবেন না। মনে রাখবেন ট্রেন্ড ইজ ইউর ফ্রেন্ড।
  • ১২। দু-একটা ট্রেডে লস করে রেগে গিয়ে টোটাল রিস্ক নিবেন না।
  • ১৩। ফ্রেশ মাইন্ড না নিয়ে ট্রেড শুর করবেন না।
  • ১৪। আপনার ট্রেডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করন এবং স্ট্রেটিজি ডেভেলপ করুন সব সময়।
  • ১৫। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমানে বা নির্দিষ্ট প্রফিট টার্গেটে ট্রেড করুন। টার্গেট ফিলাপ হয়ে গেলে ঐ দিনের জন্য ট্রেড সমাপ্ত করুন। মার্কেট ভলাটিলিটি ভালো না থাকলে টার্গেট ফিল করতে যাবেন না।
  • ১৬। ইমোশনাল ট্রেড করবেন না লোভ করবেন না।
  • ১৭। একাদিক ট্রেডের ক্ষেত্রে কো-রিলেটেড কারেন্সি পেয়ারে ট্রেড করবেন না। যেমনঃ যদি EUR এবং GPB উভয়কে বায় বা সেল অর্ডারে ট্রেড করেন তাহলে প্রফিট বা লস রেসাল্ট প্রায় সমান আসবে এবং মার্কেট আপনার বিপরিতে গেলে রিস্ক বেড়ে যাবে।
  • ১৮। ট্রেডিং পসিবিলিটি নিয়ে ট্রেড করুন, কখনো দেখবেন লসিং ট্রেডে আপনার অনভিজ্ঞতার কোন কারন নেই।
  • ১৯। ট্রেডের ক্ষেত্রে প্রতি ট্রেডে প্রফিট আশা করবেন না।
  • ২০। শর্ট টাইম ট্রেডের ক্ষেত্রে একটিভ  টাইম সেশন বুঝে ট্রেড করুন ।